হজরত ইমাম মালেক
তার নাম মালেক। কুনিয়াত আবু আব্দুল্লাহ এবং উপাধি ইমামু দারিল হিজরত। তার পিতার নাম আবি আমির রা্ঃ যিনি একজন তাবেয়ী ও সিহাহ সিত্তাহর রাবীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। হজরত উসমান
রা্ঃর সাথে বিশেষ সম্পর্ক ছিল। হজরত উসমান রা্ঃ শাহাদাতের পর শত্রুর হাত থেকে লাশ মোবারক উদ্ধার করে দাফন করেছিলেন তাদের মধ্যে একজন বীরপুরুষ। তার মাতার নাম ছিল আলিয়া বিনতে শারীফ।আল্লামা যাহাবী বলেন, হজরত ইমাম মালেকরা্ঃ ৯৩ হিজরিতে জন্মগ্রহন করেন। তিনি বয়সের দিক দিয়ে ইমাম আবু হানিফা রা্ঃর চেয়ে ১৩ বৎসরের ছোটো।
জ্ঞানঅর্জনঃ হজরত ইমাম মালেকরা্ঃ যুগের সর্বোচ্চ আদালত ও সুপ্রিম বিচারালয় অর্থাৎ মদিনার সাতজন ফকীহর থেকে জ্ঞানচর্চা করেন। তার পিতা ও চাচা হাদিসবিশারদ ছিলেন কিন্তু তিনি তাদের থেকে হাদিস বর্ণনা করেননি। হজরত ইমাম মালেকরা্ঃ ছোটো বেলা থেকেই ইলম শিক্ষায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। তিনি বলেনঃ আমি নাফে রা্ঃর কাছে যেতাম অথচ আমি কম বয়সের একজন বালক। তার কাছ থেকে একজন গোলাম আমাকে সাহায্য করতো। নাফে আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করতেন।
হজরত ইমাম মালেকরা্ঃ ছিলেন লম্বা ও ভারী দেহের অধিকারী ললাট চওড়া, নাক উঁচু, দাড়ি ঘন, তার মস্তক ছিল চুলবিহীন, গোঁফ ছোটো করাকে তিনি পছন্দ করতেন না। তার উভয় কান ছিল বড়। তিনি মূল্যবান পোশাক পরিধান করতেন, যেমন বিশর রা্ঃ বলেন, আমি একদিন হজরত ইমাম মালেকরা্ঃ কে ততকালীন ৫০০ দীনার মূলের একটি চাদর পরিধান করতে দেখেছি যা সাধারণত রাজা বাদশারা পরিধান করতেন।
হজরত ইমাম মালেকরা্ঃর লিখিত কিতাব মুয়াত্তা ইমাম মালেক অনেক উচ্চমানের একটি কিতাব। শাহ ওলীউল্লাহ মহাদ্দিস দেহলভী বলেন, কোরআন মাজীদের পরে মুয়াত্তা আনাস ইবনে মালিক এর স্থান। খলিফা হারুন অর রাশীদ মুয়াত্তা কে কাবা শরীফের সামনে ঝুলিয়ে দেন এবং সবাইকে মানতে বাধ্য করেন। কিন্তু হজরত ইমাম মালেকরা্ঃ মানা করার কারনে তা প্রত্যাহার করেন। তিনি খলিফা হারুন অর রশীদের সময় কালে ওফাত গ্রহন করেন। ওফাতের সময় তার বয়স ছিল ৮৬।