হযরত মাওলানা সূফী মূফতী আজানগাছী (রহঃ) এর কিছু বাণী :-
(১) আল্লাহ্ তায়ালা ও রসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম) এবং সকল কামেলীনগণের হুকুম পালনের পর হাক্কানী ওজিফা নিয়মিত বিশেষ মনােযােগের সাথে আমল করিলে দুনিয়া ও আখেরাতের সকল বিপদ আপদ দূর হইয়া যায় এবং চির শান্তি লাভ হয়।
(২) বড়দের শ্রদ্ধা ও ছােটদের স্নেহ করাই ভাগ্যবান হওয়ার উৎস। মা-বাবার সঙ্গে মুখের উপর ও স্ত্রী স্বামীর মুখের উপর জবাব দিবে। শয়তানের প্ররােচনায় বা কোন কারণে বেয়াদবি হলেই ছেলেরা সঙ্গে সঙ্গে মা বাবার পায়ে ধরিয়া নম্রতা ও বিনয়ের সঙ্গে মাফ চাহিয়া নিবে এবং স্ত্রী স্বামীর পায় ধরিয়া ক্ষমা চাহিয়া নিবে । পিতা-মাতা তার ছেলে মেয়েকে, স্বামী তার স্ত্রীকে মাফ করিয়া দিলে আল্লাহ্ পাক ও তাহাদের গুনাহ মাফ করিয়া দিবেন। (৩) হাক্কানী ওজিফা মহা মূল্যবান ওজিফা, যে কোন তরীক্বার, সেলসেলার, মাযহাবের, দলের বা পীরের মুরীদ নারী, পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই আমল করিতে পারেন।
(৪) সারা দুনিয়া ভুলিয়া তুমি এরূপ ভাবে নামাজ পড় যেন তুমি আছ আর আল্লাহ্ আছেন, তােমার এই নামাজই জীবনের শেষ নামায এবং জীবনে আর নামাজ পড়ার সময় নাও আসিতে পারে এইরূপ মনে কর।
(৫) আমিত্ব সকল দোষের কারণ । উহা অন্তরে সকল প্রকার কুঅভ্যাসের বীজ বপন করে। এই আমিত্বকে দূর করিতে না পারিলে আল্লাহকে চিনিতে পারিবে না।
(৬) দুনিয়ার সমস্ত বস্তু হইতে আল্লাহ ও তার রসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম) কে বেশী ভালােবাসিবে । (৭) হারাম অর্থ নেক কাজে ব্যয় করিলে নেকীর পরিবর্তে গুনাহর মাত্রা বাড়িয়া যায়।
(৮) নামায, রােযা, হজ্ব ও যাকাত প্রভৃতি ইবাদত করা বেহেস্ত পাইবার জন্য নয়, কেহই এই সব কাজ করিয়া বেহেস্তের দাবী করিতে পারে না। সব নেক কাজের মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর গােলামী করা। যে যত বড় গােলাম হইতে পারিবে সে বেহেস্তের তত বড় সম্মানিত আসন লাভ করিবে।
(৯) যে আলেম যে স্তরের, তিনি সেই রূপ ওয়ায বা বয়ান করিয়া থাকেন। আল্লাহ্র প্রেমে যিনি যত ডুবিতে পারিয়াছেন তাহার কথায় লােকের মনে তত বেশী ক্রিয়া (তাসির) করিয়া থাকে। আমলের দিয়াশলাই না থাকিলে তাহার কথা অগ্নিবান হয় না; অর্থাৎ অন্যের হৃদয় নূর প্রজ্বলিত করিতে পারে না।
(সত্যে বিশ্ব মানব কল্যাণ হইতে উদ্ধৃত)