উরসেকুল এর অর্থ কি?
‘উরস’ আরবি শব্দ।
যার অর্থ খুশি,উপহার,দো’আ ও সাওয়াব রেসানী। ‘কুল’ এর অর্থ সকল। উরসেকুল অর্থঃ-জীবিত
ও মৃত সকলের জন্য দো’আ,খুশি ,সাওয়াব রেসানী। জামানার মুজাদ্দিদ হাজরত মাওলানা আজানগাছী
(রহঃ) জীবিত লোকেদের যেরূপ সংশোধনের বাবস্থা করিয়াছেন, সেই রুপ মৃত ব্যক্তিদের সকল
পাপরাশি ক্ষমা করাইয়া শাস্তি লাঘব করত আগণিত লোককে কিয়ামতের মাঠে বেগুনাহ্ অবস্থায় উঠার বাবস্থা
তাসবিহ্ তাহলিল ও কোরআন তেলাওয়াতের দ্বারা
উরসেকুল করা ও নিঃস্বার্থ দোয়া ও সাওয়াব রেসানীর
মাধ্যামে কায়েম করিয়াছেন।উরসেকুল মজলিসে উপস্থিত প্রত্যেকের অন্তত সোয়া আট বার কোরআন
খতম করার করার সাওয়াব অর্জন হয় এবং নিঃস্বার্থ দো’আর মাধ্যামে তাহা সমস্ত মৃত ব্যাক্তিদের
অনুকুলে বখশিস করিয়া দেওয়া হয়। হজরত মোল্যা আলিকারি (রহঃ) ‘শারহে ফেকাহ আকবর’ নামাক
কিতাবে লিখিয়াছেন ‘মৃত ব্যক্তির নাজাতের জন্য কোরআন পাঠ করিয়া, কোন ওজরত বা পারিশ্রমিক
গ্রহন না করিয়া দো’আ করিলে ইহার সাওয়াব মৃত ব্যক্তি প্রাপ্ত হয়’।কিতাবুল ফিকাহ আলাল
মুজাহিবুল আরবা নামক গ্রন্থের ১ম খন্ডে লিখিত আছে ‘কোরআন পাঠ করিয়া দোআ করিলে মৃত ব্যক্তিরা
বিশেষ উপকৃত হইয়া থাকে।‘হজরত মাওলানা আব্দুল হাই লাখনুবী(রহঃ) মাজমুয়া ফতওয়ার ১ম খণ্ডে
লিখিয়াছেন ‘সূরা ফাতিহা ও সূরা ইখলাস পাঠ করিয়া সাওয়াব বখশিস করিলে মৃত ব্যক্তির আত্মসন্মান
ও মর্যাদা বর্ধিত হয়’।মেশকাত শারীফের ১ম খান্ডে ২৫নাং পৃষ্ঠায় তিরমিজী শারিফের হাদিস
বর্ণনা করিয়েছেন যে ফেরেশতাদেরকে কবরবাসীরা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পর বলবেন “নাম কা
নাওমাতিল উ’রুছ”। অর্থঃ-তোমরা আনান্দ ও খুশির
ঘুমে ঘুমাও তোমাদের প্রিয়জনেই তোমাদেরকে জাগাইবে।
অতাএব উরসেকুল
আমলের মাধ্যামে যে নিঃস্বার্থ সাওয়াব রেসানীর দোয়া’র ব্যাবস্থা হজরত মাওলানা আজানগাছি
(ঢ়ঃ)প্রবর্তন করিয়েছেন তাহা মৃত ব্যাক্তিদের জন্য সবচেয়ে উন্নতমানের। উরসেকুলে আত্মসংশোধন
ও মান উন্নায়নের জন্য মৃত্যুকে স্মরণ ও মোবারকবাদীর মাধ্যামে খাস দো’আর ব্যবস্থা রহিয়াচে।তাই উরসেকুল মজলিস ক্বায়েম করার
দ্বারা দ্বীন ও দুনিয়ার সর্বধিক কাল্যান সাধিত হয়। সর্ব শ্রেণির বিশ্বাসী মানুষ নর
ও নারী,গরিব ও ধনী ইহা আমল করিয়া পিতা, মাতা, নবী, ওলী, পীর, মোরশেদ আত্মীয় –স্বাজনের
হক আদায় করিয়া তাহাদের রূহানী দো’আ লাভের পথ সুগম করতে পারেন।